হেক্সাডেসিমাল গণিত হলো একটি সংখ্যা পদ্ধতি যা ভিত্তি ১৬ ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে সংখ্যা ০ থেকে ৯ এবং A (10), B (11), C (12), D (13), E (14), F (15) পর্যন্ত থাকে। হেক্সাডেসিমাল পদ্ধতি সাধারণত কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রোগ্রামিংয়ে ব্যবহৃত হয়, কারণ এটি বাইনারি সংখ্যাকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক।
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যার যোগ করার সময়, ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হয়। যদি যোগফল ১৬ বা তার বেশি হয়, তাহলে ১ অবশিষ্ট রাখতে হয়।
উদাহরণ:
1A (হেক্সাডেসিমাল)
+ 2B (হেক্সাডেসিমাল)
------
45 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল বিয়োগ করার সময়, ঋণাত্মক ফলের জন্য ১ ধার্য করতে হবে।
উদাহরণ:
3C (হেক্সাডেসিমাল)
- 1A (হেক্সাডেসিমাল)
------
22 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল গুণ করার সময়, সাধারণ গুণনের মতোই কাজ করা হয়, কিন্তু ফলাফল ১৬-এর ভিত্তিতে রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ:
1A (হেক্সাডেসিমাল)
× 3 (হেক্সাডেসিমাল)
------
51 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল ভাগ করার সময়, ভাগফল এবং অবশিষ্ট উভয়কেই ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করতে হবে।
উদাহরণ:
4A (হেক্সাডেসিমাল)
÷ 2 (হেক্সাডেসিমাল)
------
26 (হেক্সাডেসিমাল)
ব্যাখ্যা:
হেক্সাডেসিমাল সংখ্যাকে ডেসিমাল, বাইনারি বা অক্টাল রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
প্রতি বিটের মান গণনা করতে হবে এবং ১৬-এর শক্তি ব্যবহার করতে হবে।
উদাহরণ: হেক্সাডেসিমাল 1A কে ডেসিমালে রূপান্তর করা:
1 × 16^1 + 10 × 16^0 = 16 + 10 = 26
প্রতি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যাকে ৪ বিট বাইনারিতে রূপান্তর করতে হয়।
উদাহরণ: হেক্সাডেসিমাল A কে বাইনারিতে রূপান্তর করা:
A = 1010 (বাইনারি)
হেক্সাডেসিমাল গণিত সহজ এবং কার্যকর, তবে এর জন্য ১৬-এর ভিত্তিতে গণনা করার দক্ষতা প্রয়োজন। এটি বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে, বিশেষ করে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ইলেকট্রনিক্সে প্রায়ই ব্যবহৃত হয়। এটি বাইনারি সংখ্যাকে আরও সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করতে সহায়ক এবং সাধারণত কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত হয়।